শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল কক্ষে এক যুবককে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ‘গায়ে রক্তাক্ত জামা পরিহিত’ দেখতে পেয়ে চট্টগ্রামে খুনি সন্দেহে আটক দুইজনকে কক্সবাজার নিয়ে এসেছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানিয়েছেন, সোমবার রাত দেড়টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলি সেতুর তল্লাশী চৌকির পুলিশ সদস্যরা যাত্রিবাহি বাস থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হল, ঢাকার খিলগাঁও থানার মালিবাগের চৌধুরী পাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাবু এবং একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার আবাসিক হোটেল সুইট হোম রিসোর্টের ৩০২ নম্বর কক্ষ থেকে আব্দুল মালেক (২৮) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মো. বাবু ও মো. নজরুল ইসলাম গত সোমবার সকাল একদিনের জন্য ওই হোটেলে কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় হোটেল কক্ষ ছাড়ার সময় হলে কর্মচারিরা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পায়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও ভেতরে থাকা লোকজনের কোন ধরণের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে ডুপ্লিকেট একটি চাবি দিয়ে কক্ষটির তালা খোলা হয়। এসময় মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুল মালেক (২৮) কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা সওদাগর পাড়ার জাগির হোসেনের ছেলে। সে মৎস্য ব্যবসায়ি ছিল।
ওসি মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, সোমবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি সেতুর চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা যানবাহনে তল্লাশী করছিল। কক্সবাজার শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী যাত্রিবাহি একটি বাসে তল্লাশীর সময় পুলিশ সদস্যরা দুই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত জামা পরিহিত থাকা দেখতে পায়। এতে পুলিশ সদস্যদের মনে সন্দেহ জাগে।
” এসময় পুলিশ ওই ব্যক্তিদের কাছে রক্তাক্ত জামা পড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে জানায়। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয় যে দুর্ঘটনার তথ্যটি সত্য নয়। এতে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে দুই ব্যক্তিকে আটক করে। “
ওসি বলেন, ” চট্টগ্রামে সন্দেহজনক দুইজনকে আটকের তথ্যটি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। আটক দুইজনকে পুলিশ কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল কক্ষে যুবক খুনের ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করছে। “
দুইজনকে কক্সবাজার আনতে সদর থানা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বুধবার ভোরে এদের কক্সবাজার আনা হয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান শেখ মুনীর-উল-গীয়াস।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply